টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence – AI) হলো কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এমন একটি শাখা, যা মানুষের বুদ্ধিমত্তার মতো কাজ সম্পাদনের সক্ষমতা প্রদান করে। এটি এমন সফটওয়্যার এবং সিস্টেম তৈরি করে যা চিন্তা করতে, শিখতে, সিদ্ধান্ত নিতে এবং সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নয়ন ক্রমবর্ধমান। নিচে শীর্ষ ৫টি এআই টুলসের বিবরণ প্রদান করা হলো:
১। স্টোরি ইঞ্জিন ইঙ্ক (Story Engine Inc.): বাংলাদেশি স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট শেখ সৃজনের সহ-প্রতিষ্ঠিত এই স্টার্টআপটি জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ওয়েবটুন এবং অ্যানিমে নির্মাণে বিপ্লব ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি প্রি-সিড অর্থায়নে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।
২। ভিসেনজ.কম (Visenze.com): এটি একটি স্মার্ট সার্চ এবং প্রোডাক্ট ডিসকভারি এআই টুল, যা ই-কমার্সে ব্যবহৃত হয়। ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি ক্রেতা এই টুলের সার্ভিস গ্রহণ করে, এবং প্রতিদিন ৩ মিলিয়নেরও বেশি ইমেজ সার্চ কোয়েরি হয়। এর ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সার্চ বাই ইমেজ’, ‘শপেবল ইউজিসি’, ‘ভিউ সিমিলার রিকমেন্ডেশন’ এবং ‘শপিং অ্যাসিস্টেন্ট’।
৩। ভিইউই.এআই (Vue.ai): এই প্রোডাক্ট ডিসকভারি ভিত্তিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলটি ২০২৩ সালে ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। এটি কাস্টমারদের তাদের পছন্দের প্রোডাক্ট সাজেশন প্রদান করে, ক্যাটালগ কভারেজ এবং উন্নত প্রোডাক্ট ডিসকভারি সুবিধা দেয়। এছাড়া বাল্ক এডিটিং, রিভিউ এবং ট্যাগ এডিটের সুবিধা রয়েছে।
৪। চ্যাটজিপিটি (ChatGPT): ওপেনএআই-এর এই চ্যাটবটটি ২০২৩ সালে প্রায় ১৪.৬ বিলিয়ন ভিজিট পেয়েছে, যা এটিকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এআই প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে। এটি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান, কনটেন্ট রাইটিং, কোডিং সহায়তা ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়।
৫। ক্যারেক্টার.এআই (Character.AI): এটি একটি এআই চ্যাটবট প্ল্যাটফর্ম, যা ২০২৩ সালে ৩.৮ বিলিয়ন ভিজিট পেয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন চরিত্রের সাথে কথোপকথনের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
উপরোক্ত এআই টুলগুলো বাংলাদেশে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।