টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ শনিবার, ১২ এপ্রিল ঢাকার রাজপথে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন। “মার্চ ফর গাজা” শিরোনামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই সমাবেশে সংহতি জানাতে মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। পদযাত্রা ও গণজমায়েত থেকে ৪টি স্তরে দাবিসমূহ উপস্থাপন করা হয়।
রাস্তায় হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে একটি বিশাল মিছিল করেছে। এই মিছিলটি শুধু রাজধানীর জনসাধারণকেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
মিছিলের প্রেক্ষাপট
গত কয়েক মাস ধরে গাজায় চলমান সহিংসতা ও মানবিক সংকট বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তুলেছে। বাংলাদেশের জনগণও এই সংকটময় পরিস্থিতিতে নীরব থাকেনি। আজকের এই মিছিল ছিল সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগ। রাজধানীর শাহবাগ, প্রেস ক্লাব ও জাতীয় মসজিদ এলাকা দিয়ে এই মিছিল অগ্রসর হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
মিছিল শুরুর আগেই ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে #FreePalestine, #DhakaForGaza, এবং #StandWithGaza হ্যাশট্যাগগুলো ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে। ব্যবহারকারীরা মিছিলের ছবি, ভিডিও এবং লাইভ সম্প্রচার শেয়ার করতে থাকেন।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, “ঢাকার রাস্তায় আজ একতার চিত্র দেখলাম। গাজার মানুষের জন্য আমাদের কণ্ঠস্বর বিশ্বকে জানিয়ে দিতে হবে।”
টুইটারে একজন লেখেন, “গাজায় শিশুদের কান্না থামাতে আমাদের প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে। আজকের ঢাকা প্রমাণ করেছে, আমরা ন্যায়ের পক্ষে। #DhakaForGaza”
তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ
বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে সচেতনতা তৈরি ও সহমর্মিতা জানাতে পোস্ট, রিল ও ভিডিও তৈরি করেছে।
বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিলে অংশ নেয় এবং গণমাধ্যমে তাদের মতামত তুলে ধরে। আজকের মিছিল শুধু গাজার প্রতি সমর্থনই নয়, বরং বাংলাদেশের জনগণের মানবিক অবস্থান এবং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার দৃঢ়তার বহিঃপ্রকাশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে এই বার্তা এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে।