টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : রবি আজিয়াটা পিএলসি’র আয়োজনে বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিটে প্রথম হয়েছে ডা. চাষী।
১২ আগস্ট, মঙ্গলবার রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে শীর্ষ ১০টি টিম তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। এরপর সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
এই আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী অ্যাপ তৈরি করে বিডিঅ্যাপস পরিবারে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মেধাবী ডেভেলপাররা।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে চিঠি ডট মি এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে শুটার এক্স। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক, রবি’র এক্টিং সিইও, এম. রিয়াজ রাশীদ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার, শিহাব আহমাদ।
শীর্ষ ১০টি টিমের মধ্যে আরও ছিল — চিঠি ডট মি, ডা. চাষী, নার্ডব্রো, পাউবাড্ডি, শ্যুটার এক্স, বার্তা, শিখি এআই, ডায়েটকোচ, লিফমেড এবং এইসআইটি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, “প্রতিনিয়ত ডিজিটাল জীবনধারার বিকাশ হচ্ছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয় অ্যাপ ডেভেলপ করার বিকল্প নেই।
রবি আজিয়াটা পিএলসি’র এক্টিং সিইও এম. রিয়াজ রশীদ বলেন, “আগামীর বিশ্বে টিকে থাকতে এবং এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তির বিকল্প নেই। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্ম যত প্রযুক্তিবান্ধব হবে এবং এক্ষেত্রে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে ততই আমাদের অগ্রগতি নিশ্চিত হবে।
দেশব্যাপী রোডশোয়ের মাধ্যমে গত মে মাসে শুরু হয় বিডিঅ্যাপস ইনোভেশন সামিটের কার্যক্রম। এরপর অনলাইনে কৃষি, ডিজিটাল শিক্ষা, গেমিং, প্রাণী সুরক্ষাসহ বিভিন্ন খাতের জন্য ১৩শ’র বেশি আইডিয়া জমা পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফ্রি ল্যান্সারসহ সৃজনশীল তরুণরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আয়োজনে অংশ নেন।
প্রথমে আগ্রহীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ২৫টি আইডিয়া প্রদানকারীদের তাদের ধারণা উপস্থানের সুযোগ দেয়া হয়। সেখান থেকে বাছাই করা সেরা ১০টি আইডিয়ার মধ্যে হয় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।