টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)—এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেছেন, “চুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সংগ্রাম এবং একতাবদ্ধতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, একটি জাতি পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি তরুণ সমাজের হাতে। এই আন্দোলনে আমাদের চুয়েটের অসংখ্য শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল। আমাদের শিক্ষার্থীদের এই অসামান্য অবদান আমাদের গর্বিত করে।
৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)—এর আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের উপর ডকুমেন্টরি প্রদর্শিত হয় এবং স্মৃতিচারণ করেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, হতাহত ও কারাবরণকারী চুয়েটিয়ানরা। পাশাপাশি জুলাই গণভ্যুথানকে কেন্দ্র করে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত, তরজমা এবং শহিদদের মাগফেরাত কামনায় ও দেশ, জাতি এবং চুয়েট পরিবারের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন চুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।
কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুল আলম।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ডীনগণের পক্ষে স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ এর ডীন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান, বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো: মিজানুর রহমান, প্রভোস্টগণের পক্ষে অধ্যাপক ড. মোঃ মামুনুর রশীদ।
এতে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চুয়েট এর সমন্বয়ক, পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র মাহফুজুর রহমান মোহাব্বত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কারা নির্যাতিত চুয়েট এর ইইই বিভাগের ছাত্র ইসফাক আহমেদ জীম, এমআইই বিভাগের ছাত্র সাদ বিন মোস্তফা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এমআইই বিভাগের প্রভাষক জনাব তাসমিয়া বিনতে হাই।