31 C
Dhaka
১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

৭ ই এপ্রিল ই-কমার্স দিবস , এখনো শতভাগ সেবা পৌঁছায় না গ্রামে

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ৭ ই এপ্রিল দেশে ই-কমার্স দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টর ডেভেলপমেন্টে আজ এক বিশেষ দিন । শহর , উপশহর এই সেবা প্রাপ্তির তালিকায় থাকলেও শতভাগ সেবা পাচ্ছে না দেশের গ্রামগুলো।

রাজিব আহমেদ, সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ, টেকসিঁড়িকে জানান, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ই-ক্যাব জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ৭ এপ্রিলকে ই-কমার্স দিবস পালনের ঘোষণা করে। ই-ক্যাবের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেই ঘোষণা আমিই দেই। ২০১৫ সালে আমরা ই-কমার্স দিবস পালন করি মূলত অনলাইনেই বেশি। ই-ক্যাবের ফেইসবুক গ্রুপে এ নিয়ে অনেক পোস্ট আসে ১ এপ্রিল থেকে। আর মিডিয়াতে কিছু লেখা প্রকাশ হয় টিভিতে কিছু সাক্ষাৎকার। ই-ক্যাব থেকে একটি ইভেন্টের আয়োজন করা হয় ২০১৫ সালের ১০ এপ্রিল যেখানে ২৫০ এর বেশি মানুষ যোগ দেয়। এটাই ছিল ই-ক্যাবের আসল শক্তি- অনেক তরুণ তখন একটিভ ছিল অনলাইনে এবং অফলাইনে এবং তারা ই-ক্যাবকে খুব সাপোর্ট করেছে। ই-ক্যাবকে তারা নিজেদের সংগঠন বলে মনে করতো।

তিনি আরও বলেন, ৯ বছর পরে এসে বাংলাদেশে ই-কমার্সের বাজার এতটাই বেড়েছে যে আমি নিজেও মাঝে মধ্যে অবাক হই। তবে এখনো একটা দিকে আমরা পিছিয়ে আর তা হলো একদম সকল গ্রামের মানুষের কাছে ই-কমার্সের সেবা পৌছে দেয়া। এটাও হয়তো হয়ে যাবে ২০৩০ সাল নাগাদ।

ই ক্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল ৭ এপ্রিল কেন এর কারণ জানান, তিনি বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে গড়ে তোলার জন্য, ই-কমার্স কে জনপ্রিয় করার জন্য একটি দিবস করার কথা পরিকল্পনা করি। যেহেতু ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ এবং এই দিনটিকে কেন্দ্র করে বাঙ্গালীদের বিশেষ আয়োজন থাকে। তাই ৭ থেকে ১৪ই এপ্রিল এক সপ্তাহ ব্যাপী অনলাইনে কেনাকাটাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই মূলত ৭ এপ্রিল কে আমরা ই-কমার্স দিবস হিসেবে একটি উপযুক্ত দিন হিসাবে বিবেচনা করি। তাই প্রতিবছর ৭ ই এপ্রিল ই-কমার্স দিবস হিসাবে উদযাপন হয়।

আজকের দিনে ই ক্যাবের কোন আয়োজন আছে কিনা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম শোভন টেকসিঁড়িকে বলেন, আজকে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা ইফতার করেছে। শবে কদর , ঈদের ছুটি সব মিলিয়ে আজ আর ভিন্ন কিছু করা হয় নি।

ই-কমার্সের পণ্য ও পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে খুচরা কেনাকাটা, ভ্রমণ ও আতিথেয়তা, অনলাইন ফুড সার্ভিস, বিনোদন ও গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যসেবা, বিভিন্ন গ্যাজেট ও কারিগরি পরিষেবা ইত্যাদি।

ডাবলিন-ভিত্তিক বাণিজ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস ডট কমের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের ই কমার্স খাত প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার বাজারে পরিণত হবে।

Related posts

প্রসবকালে মায়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধে বাংলাদেশের ডাক্তার সায়েবার উদ্ভাবন

Tahmina

সিসকো বাংলাদেশের কান্ট্রি লিডার আতিকুর রহমান

TechShiri Admin

রিমোট কর্মীদের আর পদোন্নতি দেবে না ডেল

Tahmina

Leave a Comment