টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : তৈরি পোষাক শিল্প খাতের পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হিসেবে পরিনত হতে পারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত। আইসিটি খাত জাতীয় জিডিপিতে ১.২৫% অবদান রাখে। সরকারের পাশাপাশি, বেসিস ২০২৯ সালের মধ্যে আইসিটি রপ্তানিকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাপী ৫৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আইসিটি বাজারের মধ্যে মাত্র ৪% দখল করে বাংলাদেশ, তার আইসিটি রপ্তানির পরিমাণ বাড়িয়ে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করবে।
বেসিস এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার ১১ জুন, ২০২৪ বেসিস অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আইসিটির গুরুত্ব’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনায় এই কথাগুলো বলছিলেন বক্তারা।
আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, বেসিসের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, এম আসিফ রহমান, ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক, মীর শাহরুখ ইসলাম এবং বিপ্লব ঘোষ রাহুল, এসএমএসি অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস লিমিটেড-এর পরিচালক স্নেহাশীষ বড়ুয়া, বেসিস মেম্বারগণসহ আমন্ত্রিত আলোচকগণ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল।
আধুনিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে “স্মার্ট বাংলাদেশ” বাস্তবায়নের একটি জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করা। বাংলাদেশ ৩০টির বেশি আইসিটি পরিষেবা রপ্তানি করে, যার ৮৪% তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা থেকে আসে।
ডিজিটাল সাক্ষরতা, অবকাঠামোগত ঘাটতি, নীতিগত বাধা এবং এই সেক্টরে ভাট-ট্যাক্সের মতো চ্যালেঞ্জগুলি রয়ে গেছে। এই গোলটেবিল বৈঠক আইসিটি সেক্টরের অর্থনৈতিক অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প অর্জনে এর ভূমিকা তুলে ধরে চ্যালেঞ্জ এবং সহায়ক নীতিগুলি আলোচনা করা হয়।