টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : যোগাযোগের জন্য ওয়াই-ফাই বা মোবাইল নেটওয়ার্ক অনেক দরকারি। কিন্তু বিরুপ আবহাওয়া কিংবা রাজনৈতিক কারনে অনেক সময় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তখন মুশকিল হয় গ্রাহকদের। এই মুশকিল আসান করতে টুইটারের সাবেক প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি এনেছেন ব্লুটুথের মাধ্যমে মেসেজ পাঠানোর প্ল্যাটফর্ম ‘বিটচ্যাট’।
শুধু প্রয়োজন ব্লুটুথ মেশ ফিচারযুক্ত ডিভাইস। আপাতত শুধু আইফোন এবং ম্যাকে এটি ব্যবহার করা যাবে। আধুনিক ব্লুটুথ প্রযুক্তি মেশ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম । প্রতিটি ডিভাইস কাজ করে প্রাপক এবং প্রেরক হিসেবে। বিটচ্যাটের তাই কোনো সার্ভার নেই, প্রত্যেক ব্যবহারকারীই সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট।
অ্যাপল টেস্টফ্লাইটের মাধ্যমে বিটা পরীক্ষকদের জন্য বিটচ্যাট পাওয়া যাচ্ছে , তবে টেস্টফ্লাইট বর্তমানে সর্বোচ্চ ১০,০০০ ব্যবহারকারীর ধারণক্ষমতা অর্জনের পরেও পূর্ণ। ডরসি বলেছেন যে অ্যাপটি সম্পূর্ণ প্রকাশের আগে এখনও পর্যালোচনাধীন রয়েছে।
বিটচ্যাটের মাধ্যমে একক ব্যক্তি বা গ্রুপে অনেকের সঙ্গে মেসেজ আদান-প্রদান করা যাবে। একটি এলাকায় যত বেশি ব্যবহারকারী থাকবে, নেটওয়ার্কের পরিব্যপ্তিও হবে তত বেশি। ইন্টারনেটের বদলে এই নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে বিটচ্যাট তৈরির কারণ হিসেবে জ্যাক ডরসি ডিসেন্ট্রালাইজেশন এবং স্বাধীনতার কথা বললেও ধরে নেওয়া যায় এর আসল ব্যবহারের ক্ষেত্র হয়ে উঠবে দুটি।
দুর্যোগের ফলে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেলে অথবা আন্দোলন চলাকালে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হলে। অ্যাপটির অস্বাভাবিক পরিমাণ নিরাপত্তা ফিচার দ্বিতীয় ব্যবহারের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
ব্রিজফাই এবং বর্তমানে বিলুপ্ত ফায়ারচ্যাটের মতো একই ধরণের ব্লুটুথ-ভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপগুলি গত দশক ধরে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহার করেছে কারণ চীনা কর্তৃপক্ষের পক্ষে সেগুলিকে ট্র্যাক করা বা ব্লক করা কঠিন।
ব্রিজফাই যদিও বলে যে এটি ১০০ মিটার (৩৩০ ফুট) দূরত্বের উপর বার্তা পাঠাতে পারে, বিটচ্যাট ৩০০ মিটার (৯৮৪ ফুট) এরও বেশি পরিসর অফার করে, ভবিষ্যতের আপডেট পরিকল্পনা করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীদের ওয়াই-ফাই ডাইরেক্টের মাধ্যমে গতি এবং পরিসর বাড়ানোর অনুমতি দেবে।