টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : টঙ্গীতে অবস্থিত টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) কে হাইটেক পার্ক হিসেবে রূপান্তরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানান।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়য়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ১৯৬৭ সালে জার্মানির তৎকালীন টেকনোলজি জায়ান্ট সিমেন্স এর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত সফল প্রতিষ্ঠান টিশিসকে মেরে ফেলা হয়েছে। মাঝখানে দোয়েল ল্যাপটপের হাইপ উঠানো হয়েছে। ভিতরে ভিতরে দোয়েল উৎপাদন হয়েছে মালোয়েশিয়াতে, এখানে এসেম্বলিং হয়েছে মাত্র। শত শত দোয়েল ল্যাপটপ অবিক্রীত। ল্যান্ডফোন সেট বানাতো কোম্পানিটি, সেটা বাটন বা ফিচার ফোন বানানোর সক্ষমতায় পৌছানো যায়নি।
গাজীপুরের আহসানুল্লাহ মাস্টারের ছেলে এম্পি রাসেল শিল্পের জমি দখল করে আবাসিক এলাকা নয় এরকম শিল্পাঞ্চলে স্টেডিয়াম বানিয়েছে, স্রেফ লুটপাট করতে। অক্ষম প্রতিষ্ঠান টেশিস তার সম্পদ রক্ষাতেও ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশে ওয়াইফাই রাউটার, বুস্টার, চার্জার ইত্যাদি মোবাইল টেলিফোনের সব ধরনের এক্সেসরিজ এখনো আমদানি করা হয়। এটা ইমাজিন করতে কষ্ট হয় যে দেশের প্রায় শতভাগ ইউএসবি কেবল, পাওয়ার কেবল, এডাপ্টার ইত্যাদি আমদানি করা লাগে। সাধারণ পিএবিএক্স বিদেশ থেকে আসে। কর্মসংস্থান কিভাবে হবে! বিশেষ এই লো টেক প্রোডাক্টগুলোর জন্য সংস্থাটিকে কিভাবে ঢেলে সাজানো যায় তার জন্য এর মহাপরিচালক এর সাথে আলাপ হয়েছে বলে তিনি ফেইসবুকে উল্লেখ করেন।
তিনি লেখেন, হাইটেক নয়, আপাতত দরকার টেশিসকে একটা ফাংশনিং মিড-টেক বা লো-টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়া করানো।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা চাইনিজ ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টগুলোকে বাংলাদেশে আনতে উৎসাহিত করেছেন। টেলিফোন শিল্প সংস্থার বিদ্যমান ইনফাস্ট্রাকচারাল ক্যাপাসিটিকে কিভাবে ইন্টিগ্রেট করা যায় তার চিন্তা করছেন বলে জানান ।