টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারী সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি প্রদান করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার বলে মনে করে ইন্টারনেট বন্ধের সময় ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদকারী সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন , ‘আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি থাকছে না।’
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বিগত সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি প্রদান করবে । তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করলাম গতকাল বুধবার ২ জুলাই রাতে প্রধান উপদেষ্টার (চিফ অ্যাডভাইসর জিওবি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে যে, ১৮ জুলাই ২০২৫ গতবছরের ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই দিবাগত রাত ৯ টা থেকে এক মিনিট ইন্টারনেট বন্ধ অর্থাৎ প্রতিকী ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল পতীত ফ্যাসিবাদ সরকার। বর্তমান সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং সাম্প্রতিক সময়ে সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশ এর মাধ্যমে আইনগতভাবেই বলা হয়েছে ইন্টারনেট বন্ধ করা হবে না।
এমনকি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বারংবার বলেছেন, এমনকি সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা বলেছেন, এক মিনিটের জন্যও ইন্টারনেট বন্ধ করা হবে না আগামী দিনে। তাহলে ১ মিনিটের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তার মাধ্যমে বিগত সরকারের টেলি যোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক ও তার সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল তার স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে জনগণের মাঝে উচ্চগতি ইন্টারনেট এবং ফ্রি ডাটা প্রদান সহ অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ফ্রি ইন্টারনেট সংযোগ সেই সাথে ডিভাইস প্রদান করা হোক।
বিগত সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল না তা আমরা প্রমান সহকারে গণমাধ্যমের কাছে যখন প্রচার করি তার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়েছে। তাই কোনভাবেই প্রতিকী ব্ল্যাকআউটের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
১৮ জুলাই ২০২৫ রোজ শুক্রবার রাত আটটা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত এবং রাত ৯ টা ১ মিনিটে সমবেত নাগরিকদের মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচিতে দল-মত নির্বিশেষে সকল নাগরিক বৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।