টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত সুপারিশমালাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআইএ)।
টাস্কফোর্সের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানিয়ে বিএসআইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, সুপারিশমালায় সরকারি নীতিনির্ধারক, একাডেমিয়া, শিল্প- প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে দেশের জনশক্তি ও চিপ ডিজাইন ও টেস্টিং ক্ষেত্রে বিকাশমান সক্ষমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বিএসআইএ কর্তৃক পূর্বে প্রস্তাবিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বিবেচিত ও অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা। এ প্রসঙ্গে তারা নিচের সুপারিশগুলোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন:
১) ল্যাব অবকাঠামো ও বিশ্ববিদ্যালয়-শিল্প খাতের সহযোগিতায় দক্ষ জনশক্তি তৈরি,
২) ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সহায়তা বা মেয়াদি অর্থায়ন প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি সেমিকন্ডাক্টর ফান্ড” প্রতিষ্ঠা,
৩) প্রাথমিকভাবে অন্তত ১০ বছর মেয়াদে কর অবকাশ সুবিধা এবং
৪) বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর খাতের শক্ত অবস্থান তৈরি
তবে বর্ণিত সুপারিশমালায় অন্যান্য অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতের ন্যায় রপ্তানি আয়-এর উপর নগদ প্রণোদনা প্রদানের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানানো হয় কারন এতে স্থানীয় সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠানসমূহের আন্তর্জাতিক ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়ক হবে ।
জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স-এর সুপারিশমালা প্রসঙ্গে বিএসআইএ সভাপতি মো. আবদুল জব্বার বলেন, জাতীয় টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বিএসআই-এর কয়েকজন সদস্য সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে সুপারিশমালা প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, এজন্য আমরা আনন্দিত। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সঙ্গে মিলিতভাবে একটি প্রাণবন্ত সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বিএসআইএ বদ্ধপরিকর।