টেকসিঁড়ি রিপোর্টঃ রাজধানীর একটি হোটেল থেকে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার গতি পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পাওয়া গেছে। স্পিড টেস্টে ডাউনলোড স্পিড ২৩০ এমবিপিএস (Mbps) এবং আপলোড স্পিড ২০ এমবিপিএস রেকর্ড করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের সাধারণ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের তুলনায় অনেক বেশি গতিসম্পন্ন।
পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়েছে কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া (IP: 65.181.16.159) এবং সার্ভার সিঙ্গাপুর ও হংকং-এর সাথে সংযোগ স্থাপন করে। লেটেন্সি (Latency) ৫৩ মিলিসেকেন্ড (ms) এবং লোডেড লেটেন্সি ৫০ মিলিসেকেন্ড রেকর্ড করা হয়েছে, যা অনলাইন গেমিং, ভিডিও কনফারেন্সিং এবং রিয়েল-টাইম ডেটা ট্রান্সফারের জন্য বেশ কার্যকর।

স্টারলিংক ইন্টারনেটের এই উচ্চ গতি ও স্থিতিশীলতা বাংলাদেশের ডিজিটাল পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে প্রচলিত ইন্টারনেট পরিষেবা দুর্বল বা অনুপলব্ধ, সেখানে স্টারলিংক একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে জানা যায়, স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক চালুর বিষয়ে সরকার ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তবে, লাইসেন্সিং এবং নীতিগত কিছু বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি।
এই পরীক্ষামূলক ফলাফল বাংলাদেশে স্টারলিংকের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্টারলিংক সফলভাবে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করছে, এবং বাংলাদেশেও শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।