টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, www.gbrainbd.ai এই ওয়েব অ্যাড্রেস থেকে এআইকে জিজ্ঞেস করলে বাংলাদেশের বাজেট সম্পর্কে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর এবং নির্দেশনা পাওয়া যাবে। আমরা আগামীদিনে স্মার্ট পার্লামেন্ট গড়ে তুলতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী ২০ জুন ২০২৪, বৃস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বাজেট আলোচনায় দেয়া এক প্রেজেন্টেশনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ স্মার্ট অর্থনীতির সম্ভাবনার জায়গা হচ্ছে এখানে সারাবিশ্বের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’, সেটাকে বিবেচনা করে আমরা সকল সংসদীয় আসনে বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ পরিবারের অন্তত একজন ছেলে বা মেয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়ে ভবিষ্যৎ আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি আর ও বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে, জাতিসংঘের ২৯ তম অধিবেশনে সারাবিশ্ব কেমন হতে পারে তার একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, সবকিছুই এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ হবে সমস্যা সমাধানকারী, সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তিমূলক স্মার্ট বাংলাদেশ। আমাদের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগের ভিত্তি রচনা করে গিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ রুপকল্পে আমাদের নিজস্ব আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট, ডিফেন্স স্যাটেলাইট, সিকিউরিটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা করেছেন।
পলক বলেন, আগামী ৪ বছরের মধ্যে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করতে চাই, যেটি সুরক্ষার পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আমরা ৪টি স্তম্ভের উপর কাজ করার নির্দেশনা পেয়েছি। আমাদের স্মার্ট নাগরিকরা শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষিত বা আর্থিকভাবে সচ্ছল না হয়ে প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, সৃজনশীল, দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, ট্রান্সপারেন্ট, ডিজিটালি ইন্টারকানেক্টেড। স্মার্ট সরকার হবে পেপারলেস, দুর্নীতিমুক্ত, ফেসলেস; সরকারের সকল সেবা থাকবে আমাদের স্মার্টফোনে। স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে বঙ্গবন্ধুর সেই বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক; যেখানে শহর-গ্রামের দুরত্ব, নারী-পুরুষের বৈষম্য থাকবে না।”