30 C
Dhaka
২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ‎ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ‎ ‎ ‎‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ‎ ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
টেকসিঁড়ি

সফটওয়্যার আর্কিটেকচারের ট্রেনিং অভ ট্রেইনার্স (ToT) প্রোগ্রাম সম্পন্ন

টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : বাংলাদেশ ও জাপানের সহযোগিতায় সফটওয়্যার আর্কিটেকচারের উপর ট্রেনিং অভ ট্রেইনার্স (ToT) প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠান ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত আসকট প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সফটওয়্যার আর্কিটেকচার উন্নয়নের ক্ষেত্রে জ্ঞান বিনিময় এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি। ২১ নভেম্বর এই প্রোগ্রামে বেসিস-এর সদস্য কোম্পানির ১৭ জনসহ মোট ৩০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের আইসিটি খাতে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বাধুনিক সফটওয়্যার প্রকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে ‘সুপার আর্কিটেক্ট’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দ্যেশে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস), জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো- অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অংশীদারিত্বে পরিচালিত হচ্ছে এই বি-টপএসই (বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) প্রোগ্রাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি এম রাশিদুল হাসান এবং বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান এ.কে.এম আহমেদুল ইসলাম বাবু, ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া, উপাচার্য, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, মোঃ গোলাম সারওয়ার, পরিচালক (ম্যানেজার (অপারেশন) এবং ইনচার্জ (বিডি আইটেক), বিসিসি, কুরোকামি মিনামি, প্রতিনিধি, জাইকা বাংলাদেশ, শোজি আকিহিরো, জাইকা বিশেষজ্ঞ, প্রধান উপদেষ্টা, জাইকা-বিসিসি-বেসিস টিসিপি।

ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বলেন, ” টিওটি (ToT) প্রোগ্রামটি প্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার আর্কিটেকচারের ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রশিক্ষকদের গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী দক্ষ করে তুলবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।

অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি এম রাশিদুল হাসান বলেন, “আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাপানের মতো উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর দেশের সঙ্গে আমাদের এই সহযোগিতা কেবল দক্ষতা বৃদ্ধি নয়, আমাদের শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। বেসিস সবসময় পেশাদারদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। এই ToT প্রোগ্রাম তারই একটি উদাহরণ। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের প্রযুক্তি খাতকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, যেখানে আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও শক্তিশালীভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।”

বেসিস জাপান ডেস্কের চেয়ারম্যান এবং বেসিসের পক্ষ থেকে বি-টপএসই-এর কোঅর্ডিনেটোর এ.কে.এম আহমেদুল ইসলাম বাবু বলেন, “বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এই ধরনের সহযোগিতা শুধু প্রযুক্তি উন্নয়ন নয়, বরং পেশাদারদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাপানের উন্নত প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশের সৃজনশীল দক্ষতার সংমিশ্রণ ভবিষ্যতে উভয় দেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।”

জাইকা বিশেষজ্ঞ ও জাইকা-বিসিসি-বেসিস টিসিপি প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা শোজি আকিহিরো বলেন, “বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে জ্ঞান এবং দক্ষতার আদান- প্রদান উভয় দেশের জন্যই উপকারী। এই প্রোগ্রামটি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।

বিশেষ করে আর্কিটেকচার এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে টিওটি (ToT) প্রোগ্রামটি বৈশ্বিক বাজারের গতিশীল চাহিদা মোকাবেলায় প্রশিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। অংশগ্রহণকারীরা শিল্প বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার এবং সহকর্মীদের সাথে সহযোগিতা করার সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

Related posts

অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০ মডেলে নিউ ইয়ার সেল!

Tahmina

ভবিষ্যতে সরকারের সাথে ইউএনডিপি কাজ করতে আগ্রহী

Tahmina

এখন ফোকাস সুপার ইন্টেলিজেন্সে – স্যাম অল্টম্যান

Tahmina

Leave a Comment