টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : টেলিকম গাইডলাইন নিয়ে গ্রাহক এসোসিয়েশন তাদের পর্যবেক্ষণ ও উদ্বেগ জানিয়েছে । এগুলি হলো :
১. একচেটিয়া লাইসেন্সিং কাঠামো:
প্রস্তাবিত Multi-Service লাইসেন্স মডেল বড় কোম্পানিগুলোর জন্য সুবিধাজনক হলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি অপারেটরদের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
২. গ্রামীণ অন্তর্ভুক্তির অভাব:
খসড়ায় গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কানেক্টিভিটির জন্য পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা নেই।
অংশগ্রহণের ঘাটতি:
খসড়া তৈরিতে পর্যাপ্ত স্টেকহোল্ডার পরামর্শ ও জনমত গ্রহণের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।
৪. উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ-বান্ধব নীতির অভাব: তরুণ উদ্যোক্তা, নারী, এবং স্থানীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার দিক অনুপস্থিত।
প্রস্তাবনা:
১. সংশোধিত লাইসেন্স কাঠামো প্রণয়ন:
Tiered Licensing System চালু করে বড় ও ছোট প্রতিষ্ঠানের জন্য ন্যায়সঙ্গত ব্যবস্থা গঠন
Start-up License বা ইনোভেশন ফ্রেমওয়ার্ক যুক্ত করা
২. গ্রামীণ সম্প্রসারণ বাধ্যতামূলক করা:
Universal Service Fund (USF) ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা
৩. Stakeholder Consultation পুনরায় আহ্বান:
অন্তত ৬০ দিনের নতুন মতামত গ্রহণ ও উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন।
৪. স্বাধীন মূল্যায়ন রিপোর্ট যুক্ত করা:
অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ ছাড়া চূড়ান্তকরণ না করা
৫. নীতিমালার বাস্তবায়ন পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন:
সুশীল সমাজ, প্রযুক্তিবিদ, এবং গ্রাহক প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, একটি অংশগ্রহণমূলক, ন্যায্য ও আধুনিক টেলিকম নীতিমালা কেবল ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করবে না, বরং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।