টেকসিঁড়ি রিপোর্ট: ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) তাদের ক্যাম্পাসে দ্রুতগতির, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে ওয়াই-ফাই ৫.০ থেকে অত্যাধুনিক ওয়াই-ফাই ৭.০ প্রযুক্তিতে উন্নীত করেছে।
২৯ জুন, ২০২৫, রবিবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিএমকে লেকচার গ্যালারিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই নতুন ওয়াই-ফাই সিস্টেমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। একই দিনে আইইউবি ট্রাস্টি বোর্ডের ১০০তম সভাও অনুষ্ঠিত হয়।

এই নতুন সিস্টেমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অত্যাধুনিক অ্যাক্সেস পয়েন্ট এবং ব্যাকবোন সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে ২৫,০০০-এর বেশি ডিভাইস একযোগে সংযুক্ত থাকতে পারবে। আগের অবকাঠামোতে মাত্র কয়েকশ ডিভাইস সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল। ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে একটি আধুনিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলার যে বৃহত্তর উদ্যোগ আইইউবি নিয়েছে, এই পদক্ষেপটি তারই একটি অংশ।
আইইউবি’র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং অটোমেশন ডিরেক্টর ড. মাহাদী হাসান বলেন, “শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (আইওটি) ডিভাইসগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জিরো-ট্রাস্ট সিকিউরিটি, স্মার্ট লার্নিং পরিবেশ, নির্বিঘ্নে ব্যক্তিগত ডিভাইস (BYOD) ব্যবহার এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই এই নতুন সিস্টেম ডিজাইন করা হয়েছে।”

উপাচার্য অধ্যাপক এম. তামিম বলেন, “এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি ছিল। আমি আনন্দিত যে আমরা অবশেষে এটি পূরণ করতে পেরেছি। বর্তমান বিশ্বে একাডেমিক উৎকর্ষতার জন্য উন্নত সংযোগ অপরিহার্য।”
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হুসাইন বলেন, “আমরা আমাদের ছাত্র-শিক্ষকদের প্রত্যাশা বুঝি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, ধৈর্য ধরে বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার উপর আস্থা রাখুন, যাতে আমরা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সবকিছু যথাসময়ে সরবরাহ করতে পারি।”
প্রায় ৩.৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি সার্ভিসেস (সিআইটিএস) এবং প্রযুক্তি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনশিওর সাপোর্ট সার্ভিসেস (ইএসএস) লিমিটেড বেশ কয়েক মাস ধরে যৌথভাবে সম্পন্ন করেছে।
আশা করা হচ্ছে, এই উন্নত অবকাঠামো অনলাইন ক্লাস, হাইব্রিড শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্থিতিশীল উচ্চগতির ইন্টারনেট-নির্ভর গবেষণামূলক কাজকে আরও সহজ ও গতিশীল করবে। এর ফলে শ্রেণীকক্ষগুলোকে আরও আধুনিক ডিজিটাল সরঞ্জাম এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্ম দিয়ে সজ্জিত করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য তৌহিদ সামাদও বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও ট্রাস্টি রাশেদ চৌধুরী, আলতামাশ কবির, আশরাফুদ্দিন আহমেদ এবং মিসেস হোসনে আরা আলী; উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড এবং কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দারসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।