টেকসিঁড়ি রিপোর্ট : আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সিজন ২ এর ফাইনাল রাউন্ডে ৩৯ জন বিজয়ী হয়েছে। চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে ৩৯ বিজয়ীদের মাঝে নগদ টাকা, স্বাস্থ্য বীমা, ল্যাপটপ, ট্যাব, লোকাল ট্যুর, ইন্টারন্যাশনাল ট্যুর, ট্রফি, মেডেল, সার্টিফিকেট ও আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
একইসঙ্গে বিজয়ী দলগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে প্রস্তুত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়।
দেশের প্রযুক্তিখাতে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে ২৪ শে মে ২০২৫” শনিবার ফাইনাল রাউন্ড রাজধানীর ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি’তে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচিত ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ ২৯০ জন প্রতিযোগীদের নিয়ে দিনব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডক্টর এ বি এম শওকাত আলী, যিনি তরুণদের মাঝে আইসিটির গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন আইসিটি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা করেন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের এডভাইজার ও জুরি বোর্ড সদস্যগণ। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তারা এবং ইন্ডাস্ট্রি স্কলারসগন।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল প্রযুক্তি নির্ভর ভবিষ্যৎ গড়তে আগামীর প্রজন্মকে তৈরি করা। এই অলিম্পিয়াড শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং একটি প্ল্যাটফর্ম যা তরুণদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে।”
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহমান নিপু বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।
প্রোগ্রাম কো-কনভেনার গোলাম সারোয়ার বলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি একটি মিশন—যেখানে আমরা তরুণদের প্রযুক্তি-দক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং নেতৃত্বের গুণাবলি গড়ে তুলতে কাজ করছি। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়তে তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে, আর আমরা সেই পথ তৈরিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
চিফ টেকনোলজি অফিসার মোঃ শাহিনুর ইসলাম এর নেতৃত্বে একদল আইসিটি বিষয়ক শিক্ষক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা সারাদিনব্যাপী অনলাইন অফলাইন ও সরাসরি ভাইবা পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৯ জন বিজয়কে বেছে নেন। যদিও অনেক প্রতিযোগি এই প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতার দাবি করেছে ।
IQAC এর ডিরেক্টর চিফ জুড়ি বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো: সাফায়েত হোসেন এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের প্রেসিডেন্ট এবং নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জ বিডি এর এডভাইজার আরিফুল হাসান অপু এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সাইন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং চেয়ারম্যান মোঃ তাহজিবুল ইসলাম নেতৃত্বে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের এডভাইজার ইংলিশ অলিম্পিয়াড ফাউন্ডার আমান সুলেমান এবং কোয়ান্টাম সেইফ বাংলাদেশের সিইও মুজতবা সত্তার অনন্ত এর কাছে বিজয় ৩৯ জনের নাম হস্তান্তর করেন।
পরবর্তীতে মেন্টর কনভেনার ইন্ডাস্ট্রি স্কোলার অর্গানাইজার এবং অতিথিদের সমন্বয় বিজয়ী ৩৯ জন আগামীর তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বেছে নেওয়া হয় এবং আইসিটি অ্যাম্পিয়াড বাংলাদেশের সিজন-৩ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য দেশের তরুণ সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনী শক্তি জাগিয়ে তোলা এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করে তোলা ।